আলীকদমে ছাত্রীর মামলায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কারাগারে

আলীকদম(বান্দরবন) প্রতিনিধিঃ
বান্দরবন আলীকদমে যৌন হয়রানীর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম (৪৮) কে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
অত্র বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় গত (মঙ্গলবার) ২ জুলাই রাতে আলীকদম থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম (৪৮) কে আটক করেছিল। এ মামলায় অপর আসামি অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবলুর রহমান ওরফে (জোবাইর) (৩৩) তিনি পলাতক রয়েছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে পুলিশের আটক করা আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম (৪৮)কে বান্দরবান সদরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির করলে বিচারক এ.এস.এম এমরান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বরিশাল সদরের কাসেম আলী বেপারীর পুত্র এবং সহকারি শিক্ষক মো. বাবলুর রহমান ওরফে জোবাইর যশোরের কেশবপুর উপজেলা সাগরদাড়ি গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের পুত্র।
তারা আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক কর্মরত থাকাবস্থায় মামলার বাদী ভূক্তভোগী ছাত্রীটিকে যৌন হয়রানী ও হুমকী প্রদান করেন বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৯ মে বিদ্যালয় চলাকালীন সকাল আনুমানিক ৯ টা ১০ মিনিটের সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ডেকে তার থাকার ঘরে নিয়ে রুম পরিষ্কার করতে বলেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম ভুক্তভোগী ছাত্রীকে পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরেন এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে স্পর্শ করেন বাধা দিলে বিয়ে করার প্রলোভন দেখান।
ঘটনাটির পর ওই শিক্ষার্থী সাড়া না দিলে ৮ জুন তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হুমকীর অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করার পর পুলিশ প্রধান শিক্ষক বদিউল আলমকে বুধবার রাতে আটক করেন।
জানা গেছে, গত ৪ জুন যৌন হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনের চেষ্টা করেছিল ছাত্রীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন স্থগিত করে।
বুধবার বিকেলে বান্দরবান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ এর কাছে জানতে চাইলে বলেন,অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।