বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

এখনো জমে উঠেনি ফুটপাতের ঈদ বাজার হতাশ খুদ্রু ব্যবসায়ীরা

Reporter Name / ২৪৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

বশির আহাম্মেদ চাঁদঃ

আজ বৃহস্পতিবার ৪ই এপ্রিল ২৪শে রমজান। দিন ছয়েক বাদেই ঈদুল ফিতর। কিন্তু এখনো ফুটপাতের বাজারে কেনাকাটা জমে ওঠেনি। কুষ্টিয়ার নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভরসাস্থল এসব মার্কেট বলতে গেলে ঈদের বেচাকেনা শুরুই হয়নি। অথচ প্রতিবছর রমজানের অর্ধেক পেরোতে না পেরোতেই এসব বাজারে ঈদের কেনাকাটা জমে ওঠে।

দোকানিরা বলছেন, ঈদ ঘনিয়ে এলেও বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় উদ্বেগে ভুগছেন তারা। বাকি দিনগুলোতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বিক্রি না হলে রীতিমতো লোকসানে পড়বেন। আর ক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের পণ্যের দামই আগের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় সাধ থাকলেও সাধ্যের সঙ্গে তার সমন্বয় ঘটাতে পারছিনা।

দিনভর কুষ্টিয়ার মিরপুর, পোড়াদহ সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,ফুটপথের দোকানিরা সব পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কিন্তু ক্রেতার আনাগোনা খুব কম। তবে বেশির ভাগই দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দরদাম করছেন, কিন্তু বিক্রেতার সঙ্গে দাম নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় আর কিনতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বেচাকেনা খুবই কম।

মিরপুরের ফুটপাতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে গেঞ্জির ব্যবসা করছেন মো. ইমন মিয়া। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে বেচাবিক্রি অনেক কম হচ্ছে। জানি না কেন এমন পরিস্থিতি। তবে মানুষের হাতে টাকা নেই বলেই হয়তো তারা কিনছে কম। এ রকম আগে কখনো দেখিনি।’

ফুটপাতের দোকানিরা বলেন, এবার রোজার শুরু থেকে বেচাকেনা একেবারে নেই বললেই চলে। আগের কয়েকদিনের তুলনায় গত দুই দিনে বিক্রি একটু বেড়েছে। কিন্তু তা ঈদের বাজার বিবেচনায় কিছুই নয়। গত বছর এই সময়ে দিনে যা বিক্রি করেছি, এবার তার পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে।

পোড়াদহ এলাকার আরেক দোকানদার বলেন, ‘মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নাই। কষ্টে আছে। এখন তো অনেক কাস্টমার দেখি, যাদের দেখলেই বোঝা যায় কখনো ফুটপাত থেকে জিনিসপত্র কেনে নাই। এখন বাধ্য হয়ে কিনতেছেন। আমরা তাদের চলাফেরা দেখলেই বুঝি। তারপরও ঈদে আসানুরুপ বিক্রি হবে এই আশা রাখি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page