কুষ্টিয়ায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
সামছুল হক রুবেল :৪ নং বটতৈল (কুষ্টিয়া সদর): কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া ভাদালিয়া পাড়া এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি আমীর হামজার নির্বাচনী পোস্টার, ছবি ও ব্যানার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং জামায়াতের দলীয় নেতা-কর্মীরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর মুফতি আমীর হামজার নির্বাচনী গণমিছিলে বটতৈল ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। এই মিছিলে যাওয়ার কারণে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি কর্মী হামিদুল, রাশিদুল, আমানত, আফজাল ও সবুজ বাহিনী জামায়াতের কর্মীদের হুমকি দিতে থাকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, হুমকির একপর্যায়ে বরিয়া ভাদালিয়া পাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি জনাব হারুন এবং সাধারণ সম্পাদক উম্মাত আলীর ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলায় তারা আহত হলে স্থানীয় জনগণ এসে তাদের উদ্ধার করেন। এরপরই মুফতি আমীর হামজার ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। এছাড়াও, জামায়াতের নেতা-কর্মীদের জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে বরিয়া ভাদালিয়া পাড়া এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত।জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এই সন্ত্রাসী হামলা ও নির্বাচনী সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায়। এই বিষয়ে বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন,এই বিষয়টি আমি রাতে শুনেছি।আমি এবং আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত নয়।যদি আমাদের কোন বিএনপির কমী জড়িত থাকে আপনারা প্রমাণ করতে পারলে আমি নিজে তার বিচার করবো।এখানে বিএনপি জামায়াতের কোন সমস্যা না।এখানে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নেতাকমীরা এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে মারামারি হয়েছে।এলাকায় ২ পক্ষের পুরাতন ঝামেলা নিয়ে মারামারি সেটা বিএনপি উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জামায়াতের পোষ্টার ছেঁড়া ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বিএনপির কোন নেতাকর্মীরা জামায়াতে পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলি নাই।আপনারা প্রমাণ করুন আমরা সেই কমীদের শাস্তি দেবো। এই বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাসুদ রানা বলেন যে আমরা ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে জানতে পারী যে এখানে আমাদের জামায়াতের পোষ্টারগুলো ছিড়ে ফেলেছে এবং আগুন দিয়ে পুরিয়ে ফেলেছে।আমাদের কিছু কমীদের মারছে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি নামধারী কিছু লোকজন।আমরা বিএনপির উপর দোষ দেবো না।কিন্তু যারা এই অন্যায় কাজ করেছে তাদের কে আইনের আওতায় আনতে আমরা অভিযোগ করতে থানায় এসেছি।এই বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল হাশেম জানান যে ঘটনা টি শুনেছি আমরা কোন দলের উপর দায় চাপাতে চাই না।নিবার্চন হবে নিবাচনে একে অপরের পোষ্টা ছেঁড়া অপরাধ। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে ভালো পরিবেশে নিবার্চন করতে পারী সেই পরিবেশ যেনো নিবার্চন কমিশন তৈরি করে দেন।ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে এই রকম ঝামেলা যেনো আর না হয় আমরা সেই কমনা করি।








