কুষ্টিয়ায় ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণ ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

সামছুল হক রুবেল :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মজমপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাধারণ সেবা প্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভূমি অফিসে সেবা পেতে নাগরিকদের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূমি সেবা গ্রহীতা জানিয়েছেন, ছোটখাটো যে কোনো সেবা—যেমন নামজারি, খাজনা বা মিউটেশন সংক্রান্ত কাগজপত্র নিতে গেলেও মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। কেউ সরাসরি অভিযোগ করতে সাহস পান না, কারণ তাঁরা জানেন না কার কাছে অভিযোগ দিলে কার্যকর প্রতিকার পাওয়া যাবে।
এদিকে শহরতলীর পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকার তৌফিক হায়দার চৌধুরীর প্রবাসী মেয়ে জাহানারা ফেরদৌস চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার মজমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মারাত্মক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
জাহানারা ফেরদৌস বলেন, আমি প্রবাসী, আমার বৃদ্ধ বাবা ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। আমাদের একটি বণ্টন সংক্রান্ত মামলা চলমান। কিন্তু সেই মামলার অজুহাতে ভূমি অফিসে মিউটেশন মিস কেস ও নামজারি কেস বাতিলের নামে বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছি। সহকারী কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিন নানা অজুহাতে আমাদের বারবার অফিসে ঘুরাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, একই জমির একরকম রিপোর্ট একবার দিলেও এক দেড় মাস পরে মজমপুরের মৌজার তহশিলদার নতুন করে আরেকবার পুর্বের বিপরীতে একেবার ভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করে দেন, যার ফলে আবার শুনানির নামে নতুন ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। ছোট ছোট এসব কাজের জন্য যদি বারবার ভূমি অফিসে যেতে হয়, তাহলে আমরা আমাদের নিজের কাজ করব কখন?
এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ গুলো ঠিক নয়, আমার কাছে যদি কেউ তথ্য চাই আমি তাকে তথ্য দিয়ে থাকি। তার নামে নিউজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া একটি স্থানীয় এনজিওর নামে শহরের ৫০ শতকের উর্ধ্বে আরো একটি জমির মিউটেশনের জন্য ফাইল জমা দেওয়া হলে তিনি তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার অর্থ গ্রহণ করেছে কিন্তু তাদের মিউটেশনের ফাইলটি সম্পন্ন করছেন না বলেও একাধিক সূত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত ও ভূমি অফিসে সেবার মানোন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।