বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

Reporter Name / ১৪৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥

১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাংলাদেশের প্রথম ও অবিভক্ত বাংলার তৃতীয় নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুমারখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন কৃষ্ণধন মজুমদার নামের এক ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার বিদ্যালয়টিতে ১৮৬৩ সালের পহেলা জানুয়ারী থেকে ১৮৯৬ সালের ১৬ই মার্চ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশব্যপী সুনাম কুড়িয়ে আনলেও বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার মোদক, সহকারী শিক্ষক সাঈদ হোসেন ও অফিস সহকারী অখিল ঘোষের নানা অনিয়ম দূর্নীতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে বিদ্যালয়টি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এগারো শত। অভিযোগ আছে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে চৌদ্দ শত পনেরো টাকা ফি আদায় করে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী অখিল ঘোষ। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক সর্বমোট এগারো শত টাকার হিসেব দিতে পারলেও বাকী দুই শত পচানব্বই টাকার হিসেব দেখাতে পারেননি।
যেসব বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চৌদ্দ শত পনেরো টাকা ফি আদায় করা হয় মুদ্রণ-১৭৫ টাকা, ম্যাগাজিন-৬০ টাকা, ক্রীড়া-১০০ টাকা, সাংস্কৃতি বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস-৭৫ টাকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পূজা-মিলাদ-৭৫ টাকা, লাইব্রেরী-৪০টাকা, কল্যাণ তহবিল ও দরিদ্র তহবিল-২৫টাকা, কম্পিউটার-২০ টাকা, কৃষি ও বাগান-৩০ টাকা, ল্যাব্রেটরী ও গবেষণাগার-৪০ টাকা, কমন রুম-৩০টাকা, পরিচয় পত্র-৫০ টাকা, নিরাপত্তা ও নৈশ প্রহরী-৩০ টাকা, নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা-১০০ টাকা, মসজিদ-৫০ টাকা, চিকিৎসা সেবা-২০ টাকা, বিবিধ ও আনুসাংগীক-২০০ টাকা, উল্লেখিত এসব টাকার যোগ ফল এগারো শত বিশ টাকা কিন্তু আদায় করা হয় চৌদ্দ শত পনেরো টাকা বাকি দুই শত পচানব্বই টাকার হিসেব কোথায়? এসব খরচের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সহ আরো কিছু খরচ আছে যেগুলো পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়ার কথা জানান। এসব ফি এর মধ্যে অনেক কিছু আছে যেগুলোর কোন হদিস নেই তবুও নেওয়া হয় বাড়তি ফি তবে তাদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী বছরে তিন লাখ চব্বিশ হাজার পাঁচ শত টাকা কেন আদায় করা হয় এবং কোথায় ব্যায় করা হয় এবিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার মোদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান আমরা অনেকেই আছি যাদের অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতে হয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দূর্নীতি আমরা মেনে নিতে পারি না। এসব দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ) মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোন সুযোগ নেই, কেউ যদি নিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page