বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

Reporter Name / ২৩৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

আজিজুল ইসলামঃ

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাটের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যারফলে চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছু তার নিজের মর্জিতে লুটপাট করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন- ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার।

তিন মহিলা মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও কোন সমাধান মিলছে না। আবার উল্টো চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনীর হুমকি ও লাঞ্চিত করা হচ্ছে।

এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন-

আমি মোছাঃ রূপসী আকতার, ১২নং হরিণারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২, ১২নং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মেহেদী হাসান সম্রাট এর নামে আনিত অভিযোগ।

দূর্নীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরা হলো- বরাদ্দকৃত কাজের কোন মিটিং আলোচনা ছাড়াই সবকিছু নিজের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেন। আবার কৌশলে সচিবকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পরে ইচ্ছামত গত বসিয়ে দেন। ১৫টি প্রকল্পের টাকা লামছাম কাজ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া-

১। হাট বাজারের টাকা পায় ৩,৫০,০০০/- তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা

২। ট্রেড লাইসেন্স প্রায় ৪,৫০,০০০/- চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা

৩। বাসা বাড়ীর ট্যাক্স প্রায় ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা

৪। কাজ করার কথা বলে প্রস্তাব দিয়ে ১% এর ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা, আবার কাজ না করে নিজেই তুলে আত্মত্মসাৎ করেন।

৫। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০,০,০০০/- দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয়

এতকিছুর পরেও ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছেন। এর হিসাব চাইলে সচিব কোন হিসাব দেয় না। এদিকে প্রতি মাসে মেম্বরদের বেতন ৪৪০০/- টাকা বহন করবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী।

কিন্তু ৮-৯ মাস পর চার মাসের বেতন দিলেও আবার তার থেকে ৪০০/- কেটে নেওয়া হয়। হাট বাজার বরাদ্দের টাকার নামে আবার বেতনের টাকা না দিয়েও বেতন বহিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন এই চেয়ারম্যান। এদিকে কৃষকের বরাদ্দের কোন মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করেই দেওয়া হয় ও নির্যাতন চালানো হয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার বাড়ীতে রাতের বেলা চেয়ারম্যানের নাম করে ০৪ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়।

তারপর আমি এ বিষয়ে ইবি থানাতে গিয়ে ওসি স্যারকে সকল বিষয়গুলো বলি। তারপর তিনি অজ্ঞাত নামে একটি অভিযোগ নেই। এতে আমার প্রাণ নাশের হুমকী আরও বেড়ে যায়। তখন আমি এর থেকে বাচার জন্য একটি পেপারিং করে সকলকে বিষয়টি জানাই।

তারপর সে আমাকে মারতে না পেরে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকী দেয় এবং আমাকে পরিষদের সকল প্রকার বরাদ্দকৃত জিনিস থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এ বিষয়ে আমি একটি মিটিং এ হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলি আমাকে কেন কোনকিছু দেওয়া হচ্ছে না?

তাতে চেয়ারম্যান বলে, আমি তোমাকে কোন কিছু দিব না এবং আমি তোমাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রেখেছি সেটাই তোমার জন্য বড় কপাল। উপরোক্ত বাক্যটি সকল মেম্বরগণ উপস্থিত থাকাবস্থায় শ্রবণ করেন এবং মেম্বারকে উক্তি করে এমন কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page