কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি

কে এম শাহীন রেজা।।
কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় জন্য ১৬ এপ্রিল ২০২০ সালে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি একতলা ছোট ভবনে বসানো হয়েছিল পিসিআর ল্যাব। কুষ্টিয়া অঞ্চলে করোনার প্রকোপ আকার ধারন করায় এই ল্যাব স্থাপন করা হয়। কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার রোগীরাও এখানে চিকিৎসা নিতে ছুটে আসতো। করোনা চিকিৎসায় অত্যাধুনিকতা থাকায় ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবেও নাম ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল নামে প্রজ্ঞাপন জারিও কথা ছিল। গত ১ বছর আগে করোনার প্রকোপ কমে গেলে এই ল্যাব নিয়ে আর তেমন কার্যক্রম হয় না। কিন্তু হঠাৎ করে কুষ্টিয়ায় করোনার প্রকোপ দেখা দিলে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং করোনা পরীক্ষার জন্য অনেক রোগী আসছেন হাসপাতালে। জানা যায়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। করোনার বিস্তার নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ানোর মধ্যে কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবটির যন্ত্রপাতি চুরির খবরে জনমনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়টি এক মাস আগে টের পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর এক বছর আগে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মচারীকে ল্যাব দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, পিসিআর ল্যাবে চুরির ব্যাপারটি স্বীকার করে তিনি বলেন, পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। এটা এক দিনে হয়নি। ধারণা করছি, গত চার মাস ধরে চুরির ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক মাস আগে বিষয়টি টের পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে। ল্যাব বন্ধের পর দেখভালের জন্য যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের চরম অবহেলা রয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি আরো বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ওয়ার্ডগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
Leave a Reply

Every step could lead to impactful rewards or peril in the thrilling mines demo game that challenges
