বশির আহাম্মেদ চাঁদ (ষ্টাফ রিপোর্টার):
আজ ৬ই এপ্রিল শনিবার ২৬ রমজান ১৪৪৫ হিজরী।
চৈত্র মাসের কাঠফাটা রোদ আর দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবন। দুর্বিসহ গরমে ঘরে-বাইরে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে,মিরপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি রোগী ভিড় জমাচ্ছে। সকাল থেকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে অতিরিক্ত ঘাম কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। আবার বাতাসের আদ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায় তাপাদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে। আবার গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন নয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ এবং হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বাড়ছে। তাই গরমে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করা, ফলমূলের সরবত পান, পচা-বাসী ও বাইরের খাবার না খাওয়া এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
হাসপাতালে একাধিক রোগী স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহে শুধু মিরপুরই নয় , জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেই রোগী আসছে হাসপাতালে।বিশেষ করে রোগীরা ডায়রিয়া শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং হাঁটাচলার শক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
গরমের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ কতটা বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন, গত কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে রোগীর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তবে এখন যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ আরও বাড়বে।
thedailyajkerhaowa.com
একটি অনলাইন নিউজ সংরক্ষন প্রতিষ্ঠান
সম্পাদক: সুজন মাহমুদ , প্রকাশকঃ নুরুন্নাহার হিরা , বার্তা সম্পাদকঃ শুভ শেখ, মোবাঃ01721-111321
Copyright © 2025 Ajker Haowa. All rights reserved.You cannot copy content of this page