দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহুরুলকে গ্রেফতারের পর শ্যালকের দৌড়ঝাপ!

নিজস্ব প্রতিনিধি :
গতরাতে ৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখে দৌলতপুর বাজার থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জহুরুল আলমকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী ও র্যাব। সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের পরে জহুরুলের শ্যালক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার দুলাভাইকে ছাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সূত্রে আরো জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এই জহুরুল। বর্তমানে বিএনপিতে শ্যালক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে এবং এলাকা বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। জহুরুলকে গ্রেফতার করায় দৌলতপুরের সাধারণ জনগণের মধ্যে উল্লাস ও আনন্দ উদযাপিত হচ্ছে। ইতিপূর্বে ২০০৩ সালে জহুরুলের নেতৃত্বে পুলিশর উপরে আক্রমণ হয়েছিল ও সেই মামলার আসামী ছিল। মোঃ জহুরুল আলমের আপন ভাই মোঃ জাহিদ তাকে সবাই বোমারু জাহিদ নামে চিনে। তার ভাই সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন কে বোম মেরে হত্যার চেষ্টা করে এবং সেই বোমায় তিনজন নিহত হয়। জহুরুল আলম ও মোঃ জাহিদ দুই ভাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের ছত্রছায়ায় থেকে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে এবং এলাকায় সহ বিভিন্ন জায়গায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি দৌলতপুরে বিএনপির লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা, হয়রানিসহ বিভিন্ন জায়গা দখল, হত্যার হুমকি এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য করে জহুরুল ও তার ভাই জাহিদ। দৌলতপুরের সাধারণ জনগণ মোঃ জহুরুল আলম ও জাহিদের বিরুদ্ধে কঠিন বিচারের দাবি করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এলাকাবাসীরা আরো জানান সাবেক এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদ হত্যা চেষ্টা মামলার সদ্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত ফ্রীডম পার্টি নেতা রোমারু জাহিদ’র ছোট ভাই জহুরুল আলম। জহুরুল আলম ছাত্রজীবনে ফ্রিডম পার্টি, জাকের পার্টি, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রসমাজ’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি দৌলতপুর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সর্বশেষ জাতীয় পার্টি থেকে কুরবান সাহেবের সঙ্গে যোগ দিয়ে দৌলতপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহŸায়ক হন জহুরুল আলম। এই সমস্থ বিষয় নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বিগত সমস্ত নির্বাচনে জহুরুল আলম শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার নির্বাচন করেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের ভোট না দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রর্দশন করেন। এছাড়াও ফ্রিডম পার্টি থেকে জাতীয় সাংসদ নির্বাচন করেছেন তার বড় ভাই জাহিদ।
দৌলতপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক, অস্ত্র, বোমা ব্যবসায়ী, ফ্রিডম পাটির্র নেতা মোঃ জাহিদুল জাহিদ (বোমারু জাহিদ) এর সাবেক সাংসদ আফাজ উদ্দীন আহমেদ হত্যা মামলায় যাবত জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। উল্লেখ্য, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য যারা একসময় বিভিন্ন বিএনপির নেতা কর্মী বাসায় অন্যায় অত্যাচার, জুলুম চালিয়েছেন তারা এখন আবার বিএনপির বড় নেতার ছত্রছায়ায় ঘুড়ে বেরাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জহুরুল আলমকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী ও র্যাব। গ্রেফতারের পর থেকে জহুরুলের শ্যালক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার দুলাভাইকে ছাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন এই জহুরুল কে ছেড়ে দিলে এলাকায় অস্থিরতা তৈরী করবে। তাই তাকে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান তারা।