নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরনের পর উদ্ধার করেছে র্যাব-৫

ডেক্সঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় পিতা-পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার রাতে নাটোর শহরের হরিশ এলাকা থেকে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারসহ ভিকটিমকে আদ্ধার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের রহিমানপুর এলাকার আতাহার আলী (৪১) ও তার ছেলে অন্তর আহম্মেদ (১৯)।র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পরিচালক সন্জয় কুমার সরকার জানান, ভিকটিম নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় অন্তর আহম্মেদ ভিকটিমকে রাস্তা ঘাটে বিভিন্নভাবে প্রেম ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে মানা নিষেধ করলে অন্তর আহম্মেদ ও তার পিতা আতাহার আলীসহ পরিবারের কেউ কর্নপাত করেনি।গত ফেব্রুয়ারী সকাল ৭ টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় জামানগর ইউনিয়নের রহিমানপুর বাজারের মতিনের দোকানের সামনে পৌছামাত্র অন্তর ও তার পিতাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
ভিকটিম বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়না। পরে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অন্তর ও তার পিতা আতাহার আলীসহ জড়িত আরো ৪জনকে আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
আসামীদের গ্রেপ্তার সহ ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫ এ একটি আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ গোয়েন্দা নজরদারিসহ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
র্যাব-৫ রাজশাহী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং সোমবার শহরের হরিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ মামলার আসামী অন্তর ও তার পিতা আতাহার আলীকে গ্রেপ্তার করে।
ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পরিচালক সন্জয় কুমার সরকার অঅরও জানান, গ্রেপ্তারের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের হেফাজত হতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।