পোড়াদহতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

বশির আহাম্মেদ চাঁদ (ষ্টাফ রিপোর্টার):
আজ ৯ই মার্চ ২৯শে রমজান মঙ্গলবার। ঈদুল ফিতরের আর দিন দুয়েক বাকি। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিশেষ পোড়াদহের বস্তবিতান গুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় চোখে দেখা গেছে। মানুষের চাহিদা পূরণে ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতে ছিল নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড়। অনেকে তাদের শিশুসন্তানদের নিয়েও এখানে এসেছেন। দেখে-শুনে, দরদাম করে কিনেও নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, প্রসাধনী, জুতা এবং পোশাকের প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও প্রসাধনী ক্রয়ে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম হলেও জুতা ও কাপড়ের মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরগম। পোড়াদহ বাজার বস্তব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কালেকশন এসেছে। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। শিশুদের পোশাকের পাশাপাশী থ্রিপিস ও পাঞ্জাবির চাহিদা রয়েছে।বিশেষ করে করোনা কালীন সময়ে পোশাক ব্যবসায়ীরা যে লোকসানের মুখে পড়েছিল তা এবার কাটিয়ে উঠবে। বেস্ট ফ্যাশান এর মালিক ইতু আহমেদ জানান,মেয়েদের থ্রিপিস বেশি বিক্রি হচ্ছে।
সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব কাপড়চোপড়ের ওপরও পড়েছে। তবে বিক্রি ভাল।আশা করি করোনা কালীন লোকেশন কাটিয়ে উঠতে পারবো এবার। পোড়াদহতে কেনাকাটা করতে আসা আলীম হোসেন ও হাসিনা পারভীন বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রতি পোশাকে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনেছি, আগে হাজারের নিচে হলেও এবার হাজার টাকার ওপরে গিয়ে কিনতে হচ্ছে তাছাড়া মার্কেটগুলোতে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের পোশাকের আলাদা আলাদা দোকান, জুতার দোকান, কসমেটিকসহ সব প্রকার দ্রব্যসামগ্রীর দোকান রয়েছে। তবে বিক্রেতারা পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি রাখছেন বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন।