সুজন মাহমুদঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪নং বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল এর স্ত্রী আসমা খাতুনের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ছেলে সজীব(২১)এলাকাবাসির বরাত দিয়ে জানাজায় ২১জুন ২০২৫ইং শনিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় আব্দুল এর দোকানে সিগারেট নিতে আসে সজীব,সিগারেট দিতে দেরি হওয়ায় বাকবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে আব্দুল এর ছেলে আসাদ ও সজীব। এবিষয়কে কেন্দ্র করে দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পেটাতে থাকে আসাদকে।আসাদের শোর চিৎকার শুনে বাড়ি মধ্যে থেকে বের হয়ে আসে আসাদের মা আসমা খাতুন।ছেলেকে বাঁচাতে কাগতি মিনতি করতে থাকলে তাকেও ছাড় দেইনি অভিযুক্ত সজিব এবং পড়ে থাকা ইটের আদলা দিয়ে বাদিকে আঘাত করলে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। পরে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আসমাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে আসমা খাতুন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, তাতে উল্লেখ করেন বিবাদী আমার প্রতিবেশী। উক্ত ঠিকানার বাড়ির সাথে আমার একটি চায়ের দোকান আছে যাহা আমার ছেলে মোঃ আসাদ পরিচালনা করে,আমার ছেলে মানসিক দিক দিয়ে অসুস্থ। সেই সূত্রে অদ্য ২১/০৬/২০১৫ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় বিবাদী আমার দোকানে এসে সিগারেট চাই দোকানে আমার ছেলে থাকায় সিগারেট দিতে কিছুটা দেড়ি হওয়ায় বিবাদী ও আমার ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় যাহাতে বিবাদী আমার ছেলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে চর থাপ্পর সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে এবং তাহার পরনের গেঞ্জি ছিড়ে ফেলে, আমার ছেলের শোর চিৎকারে শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে বিবাদীকে আমার ছেলেকে মারধর করিতে নিষেধ করিলে বিবাদী আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করে, এবং আমাকে চর থাপ্পর সহ আমার পিঠে স্বজরে কিল ঘুষি মারিয়া লালফোলা জখম করে, এক পর্যায়ে বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ইট দিয়া মাথায় আঘাত করে উক্ত আঘাত আমার মাথায় লেগে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়ে রক্তপাত হয় যাহাতে ৩/৪ টি সেলাই লাগে। পরবর্তীতে বিবাদী আমাকে হুমকি প্রদান করে যে, তুই তোর ছেলেকে সাবধানে রাখবি না হলে তোর ছেলেকে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখবো বলিয়া আমার দোকানের ঝাপ উল্টে দেয় এবং দোকানের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। উল্লেখ্য বিবাদী প্রায় সময়ই আমার দোকানে এসে বিবাদ করে, দোকানের মালামাল নিয়ে টাকা দেয় না এবং এলাকার আরও অনেকের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করে। অতঃপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিবাদীর হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে,পরবর্তীতে আমি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করিয়া আপনার থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।বিষয়টি নিয়ে বিবাদীর পরিবার আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে কখন যেন আবারো ঘাতক সজীব ও তার দলবল এসে হামলা চালায়।
এবিষয় কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবেনা। অভিযোগ নেয়া হয়েছে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
thedailyajkerhaowa.com
একটি অনলাইন নিউজ সংরক্ষন প্রতিষ্ঠান
সম্পাদক: সুজন মাহমুদ , প্রকাশকঃ নুরুন্নাহার হিরা , বার্তা সম্পাদকঃ শুভ শেখ, মোবাঃ01721-111321
Copyright © 2025 Ajker Haowa. All rights reserved.You cannot copy content of this page