বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ বটতৈলের লিটনের নামে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পর্ব-১
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল ৫নং ওয়াডের ঈদগাহপাড়া গ্রামের দীনমোহাম্মদের ছেলে লিটন(৩২)নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন এক যুবতী।ওই যুবতী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে ব্যবসায়ী লিটনের সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় লিটন। সেই সুযোগ নিয়ে লিটন যুবতীর কাছে সব সময় নানান সমস্যার কথা তুলে ধরে টাকা চাইতে থাকে। এক সময় লিটন তাকে বলে টাকা না দিলে তাঁর ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে তোমাকে ব্যবসার ৫০% মালিকানা লিখে দেব।
এমন কথা শুনে ওই যুবতী লিটন কে এক এক করে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন। মেয়েটির ভাষ্য, লিটন এখন তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে সে আমার দোকানে কর্মচারী।
এবিষয় ভুক্তভোগি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন,তাতে উল্লেক আছে।আসামি আমার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় মাঝে মধ্যে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা ও গল্প আলাপের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে আমি বিদেশ যেতে চাইলে এবং ভিসা কমপ্লিট করি ও আমার ভিসা চলে আসে। কিন্তুক বিবাদী বলে তোমাকে বিদেশ যাওয়া লাগবে না, তোমার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আমি এবং বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। এমনকি আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে বিবাদীর পরিবারের সবাই অবগত আছে এবং মাঝে মধ্যে তার বাড়ীতে আমি যাওয়া আসা করতাম।
বিবাদী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমাকে মিথ্যা বলে তার স্ত্রী ফুফুতো বোন বলে আমার সাথে পরিচয় করে দেয়। বিবাদীর কথামত আমি বিদেশে যাওয়ার কিছু টাকা দিয়ে আমি একটি কসমেটিকস এর দোকান দেয়। এব্যাপারে বিবাদী আমাকে কিছু টাকা দিয়েও সহযোগিতা করে। আমি বিয়ে কথা বললে বিবাদী আজ না কাল করবে বলে তালবাহানা করে এবং আমাকে বিভিন্ন লোকের কাছে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়ায় রাখে এবং সে নিয়মিত আমার সাথে ঘর সংসার করে।
সর্বশেষ ১২/০২/২০১৪ ইং তারিখে আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে আমাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ী মারপিট করে ফোলা কালশিরা জখম করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় আমি সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করি এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং বিবাদীর চাচা কেমু বিশ্বাস বিবাদীর সহ আমাকে বিবাহের জন্য ৭ দিন সময় নেয়, কিন্তু এযাবৎ কোন যোগাযোগ করে নাই।বর্তমানে বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করিতেছ।
এবিষয় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই তপন কুমার ঘোষ এর কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন অভিযোগ হয়েছিল উভয় পক্ষ নিয়ে বসাবসি হয়েছিল।তারা কেউ আমাদের কথা মানিনাই।তাদেরকে কোট এর আশ্রয় নিতে বলেছি।
এবিষয় আসামী লিটনের ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনাই।