ভেড়ামারায় যাত্রীবাহী গাড়ি ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

শিপন আলীঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যাত্রীবাহী গাড়ি ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করল সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল। গতকাল ২৮শে আগস্ট বুধবার দিবাগত রাত ১২ টায় উপজেলার মোকাররমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক সংলগ্ন হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মাঠের মধ্যকার রাস্তায় এই ডাকাতি সংঘটিত হয়। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডাকাত দলে ১৫ থেকে ২০ জন মুখোশধারী দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, কাঁচিসহ ধারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী মো: মোহন আলী। মোহন আলি একই ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের মো: রফিকের ছেলে। মোহন আলী বলেন, আমরা রাজশাহী থেকে মাইকো বাসে রোগীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। সাথে আমার আত্মীয়-স্বজন ছিল। গোলাপ নগরের মনিপার্ক সংলগ্ন এই রাস্তা দিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই আত্মীয়- স্বজন নিয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসা জনিত কারণে রাত-বিরাতে যাওয়া আসা করি। গতকাল হঠাৎ করে হার্ডিং ব্রিজের মাঠের মধ্যে রাত সাড়ে ১১ টায় কতিপয় দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়ির পথ রোধ করে। এ সময় আমাদের সামনে ৩টা
সিএনজি, একটা ট্রাক, ১৫টা মতো মোটরসাইকেল
দাঁড়ানো ছিল। তারাও ডাকাতদের খপ্পরে পড়েছে। ডাকাতরা প্রথমে আমাদের দরজা খুলতে বাধ্য করে। তারা মহিলাদের গায়ে হাত দিয়ে স্বর্ণালংকার লুট করতে থাকে এবং আঘাত করে। এ সময় আমরা ভীত হয়ে আমাদের কাছে যা কিছু ছিল সব বের করে দেই। আমাদের গাড়িতে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে তারা তাণ্ডব চালায়। আরেক ভুক্তভোগী গাড়িচালক ফয়সাল বলেন, ডাকাতদের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তারা সকলে মধ্যবয়সী, কিছু দাড়িওয়ালা লোকও ছিল। ডাকাতরা আমাদের গাড়ি থেকে ২৩ হাজার টাকা, দু’জোড়া সোনার দুল ও সোনার চেন ছিনিয়ে নেই। তারা শুধু অর্থ আর স্বর্ণ নিয়েছে, মোবাইল নেয়নি। তারা আমাদের সামনে থাকা সব গাড়ি, মোটরসাইকেল থেকেও নগদ অর্থ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। ডাকাতির সময় তারা আমাদের গাড়ির সমস্ত লাইট বন্ধ করে দেয়। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম, গতকাল রাত ১২টার দিকে আমরা ডাকাতির খবর শুনতে পাই। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এখনো থানায় এ ব্যাপারে কোন
অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।