বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

রেল কর্মকর্তার সহযোগীতায় জলাশয় ভরাট করে চলছে ঘর নির্মান

Reporter Name / ২০৩ Time View
Update : শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

কে এম শাহীন রেজা ॥
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে রেলের ২০ শতকের একটি জলাশয় বালি দিয়ে ভরাট করে সেখানে তৈরি করা হচ্ছে টিনশেড ঘর। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্য দিবালোকে গাড়ি ভর্তি বালি এনে অবৈধভাবে সরকারি এই জলাশয়টি ভরাট করা হলেও রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিশ্চুপ রয়েছে। জানা গেছে, কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিক থেকে বাটিকামারা রেলগেট পর্যন্ত বিশাল জলাশয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ের। দীর্ঘদিন ধরে জলাশয়টি কুমারখালী সরকারি কলেজের নামে লিজ নেওয়া এবং দখলে ছিল।

ইতিপূর্বে জলাশয়ের পশ্চিমের অংশেও নির্মাণ করা হয়েছে কলেজ মার্কেট নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এবার জলাশয়ের পূর্বদিকের অংশে পানির মধ্যে বাঁশ পুঁতে বালি ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বাটিকামারা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জলাশয়ে বালি ভরাট করছেন। এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ বিনয় কুমার সরকার জানান, একসময় পুরো জলাশয়টিই কুমারখালী ডিগ্রি কলেজের নামে লিজ নেওয়া এবং দখলে ছিল। কিন্তু কয়েক দিন যাবৎ দেখছি কে বা কারা বালি ভরাটকাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পৌরসভা এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর, ডোবা ও জলাশয়গুলো একে একে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারি জলাশয়ও ব্যক্তিস্বার্থে ভরাট করা হচ্ছে। রেলওয়ের প্রয়োজনে ভরাট হলেও তবুও মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু স্থানীয় চিহ্নিত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বালি ভরাট করছেন রেলওয়ের দীর্ঘদিনের জলাশয়টি যা মেনে নেওয়া যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন আগে দেখতে পেলাম, জলাশয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। তার পরে দেখা গেল, একটি প্রাইভেট ইংলিশ ভার্সন স্কুলের সাইনবোর্ড। এর পরে এক রাতে পানির মধ্যেই বড় লম্বাকৃতির একটি ঘর তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জলাশয় ভরাটে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

জলাশয় ভরাটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে এবং লিজের কাগজ দেখতে চাইলে অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন বলেন, জলাশয়ের জায়গা লিজ নিয়েছি। এই জায়গায় স্কুল করব। আর স্কুল করার উপযোগী করতেই জলাশয়টি ভরাট করতে হচ্ছে। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলে বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page