লগি-বৈঠার নৃশংসতার উনিশ বছর কুষ্টিয়ায় জামায়াতে ইসলামী’র শোকসভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সামছুল হক রুবেল : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর— বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক রক্তাক্ত ও কলঙ্কজনক দিন। ঢাকার বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নিরস্ত্র মানুষের ওপর পরিচালিত লগি-বৈঠার নৃশংস হামলায় নিহত হন বহু ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
ঘটনার উনিশ বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার ( ২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার দিকে কুষ্টিয়ার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শোকসভা ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া জেলা শাখা।
সমাবেশে বক্তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞকে বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবতার বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন, এত বছর পেরিয়ে গেলেও নৃশংস সেই হত্যাযজ্ঞের বিচার হয়নি, যা দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থার জন্য এক গভীর প্রশ্নচিহ্ন।
সভায় নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বক্তারা তিন দফা দাবি জানান- ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা। নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ প্রদান দেশে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমীর মাওলানা আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য একেএম আলী মোহসীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা, জেলা সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার, সহকারী সেক্রেটারিগণ খাইরুল ইসলাম রবিন ও মাজহারুল হক মমিন এবং কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের আমীর এনামুল হক প্রমুখ।
এসময় কুষ্টিয়া জেলা ও শহর জামায়াতের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।








