কুষ্টিয়ার বটতৈল ইউনিয়নের সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় !

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার,হাজার টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, টিউবওয়েল দেয়া, চাকুরী দেয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতারণার মাধ্যমে বটতৈল ইউনিয়নের কয়েক’শ ভুক্তভোগী নারী-পুরুষের কাছে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে শিল্পী খাতুনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কয়েক দফা তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শিল্পী খাতুনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এর পরও থেমে নেই তার প্রতারণা। সে নিজেকে এখনো সংরক্ষিত মহিলা সদস্য দাবি করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার হাজার টাকা। টাকা ফিরত চেয়ে শিল্পী ও স্বামীর কাছে থেকে উল্টো হুমকি ধামকি পেতে হচ্ছে বলে ৩ জন ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই অভিযোগ গুলোর তদন্তে ধীর গতিতে হতাশ ভুক্তভোগীরা।
অনুসন্ধানে এলাকা ঘুরে তদন্ত সাপেক্ষে জানতে পেরেছি,গরিব অসহায় মহিলা ও পুরুষ দের কাছ থেকে, শিল্পী খাতুন,বিভিন্ন কায়দা কৌশলে ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এলাকার গণ্যমান্য বিচারক দের নাম করেও হাতিয়ে নিয়েছেন,লক্ষ লক্ষ টাকা।
কেউ দিয়েছেন ১০ হাজার,২০ হাজার,৭ হাজার, ৫ হাজার, ৩ হাজার, ২ হাজার,৮ হাজার, কেউবা দিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। এভাবে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃ কালীন ভাতা,টি,সি,বি কার্ড,জমি সংক্রান্ত বিষয়,সালিশি মীমাংসা করন,টিউবয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন শিল্পী খাতুন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার নামেও কয়েকজনের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। অসহায় নারী ও পুরুষেরা,শিল্পী খাতুনের চাতুরী কথায় ভুলে অসহায়ত্ব দূর করার জন্য,শিল্পী খাতুনের হাতে,তুলে দিয়েছেন দফায় দফায় টাকা। কেউ ধার করে লোন তুলে নিজের সংসার বাচাতে টাকা দিয়েছেন শিল্পী খাতুন কে।
ভুক্ত ভোগীদের আংশিক ভিডিও ফুটেজ রয়েছে আপডেট কুষ্টিয়া কাছে । অসহায় মানুষের মধ্যে,ক্যামেরার সামনে বিষয় গুলো উপস্থাপনা করতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নাই ভেঙ্গে পড়েন।
ভুক্তভোগীরা বলেন শিল্পী খাতুন টাকা নেয়ার পরে,দিনের পর দিন,আমাদের কে ঘোরা তে থাকে,কোন কাজ না হওয়াই টাকা ফেরত চাইতে গেলে,মারতে আসে। কেউ কেউ আবার মারও খেয়েছেন,শিল্পী খাতুন বলেন টাকা নিয়েছি তার প্রমাণ কোথায়।
৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা সদস্য,মনিকা (ময়না) ও ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি পুরুষ সদস্য সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল) কে,ভুক্তভোগীরা বিষয়টি অবগত করলে,সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুনের বিষয়টি, বর্তমান ৫ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য (কাজল) এলাকার সামাজিক মন্ডল মাতব্বর দেরকে অবগত করে। পরে স্থানীয় মন্ডল মাতব্বররা বর্তমান ইউপি মহিলা সদস্য, মনিক
(ময়না) ও ইউপি পুরুষ সদস্য সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)কে,একটি গ্রাম্য সালিশ ডাকার পরামর্শ দেন।
বর্তমান ইউপি সদস্য,মনিকা(ময়না) ও সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল) ২১জুন বিকেলে নিজ এলাকায় সালিশের দিল ধার্য করলে,ইউপি সদস্য,সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)উক্ত সালিশের দিন তারিখ ও সময়,শিল্পী খাতুন কে অবগতি করেন। সে ওই সালিসি বৈঠকে থাকার আশ্বাসও দেন। উক্ত দিনে সালিশের কার্যক্রম শুরু হলেও সালিশে শিল্পী খাতুন উপস্থিত হননি। পরে বর্তমান ইউপি সদস্য, সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)নিজেই শিল্পী খাতুনের বাড়িতে গিয়ে শিল্পী খাতুন কে সালিশে আসার অনু অনুরোধ করেন।
কিন্তু শিল্পী খাতুন সালিশে আসতে রাজি না হওয়ায় সালিসি বৈঠক প্নড হয়ে যায়। এর আগে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গুলো শোনেন সালিসে আসা স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ এলাকার সমাজ প্রধানগন।
এলাকাবাসী ও ভুক্ত ভোগী গন, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শিল্পী খাতুন কে, আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং গরীব-দুঃখী অসহায় ভুক্ত ভোগীদের টাকা গুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
( উপস্থিত ভুক্তভোগীরা)