ভেড়ামারা পাটুয়াকান্দীর পান চাষির স্বপ্ন পুড়ে ছাই!

মোঃ মিলন আলী ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় পাটুয়াকান্দী গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২হাজার পিলি পান বরজ আগুনে পুড়ে ছাই। এলাকাজুড়ে কয়েক শো বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০/৫০ জনের বেশী পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া গমসহ অন্যান্য ফসল পুড়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু বাঁশের ঝাড় রয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০/৬০ লক্ষ্য টাকারও বেশি ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা জানান।
শনিবার (২০শে এপ্রিল ২০২৪ইং ) অনুমান সকাল ১১. ৩০মিনিটের দিকে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটুয়াকান্দী গ্রামের খুশির পাড়া গ্রামে পানবরজে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। পরে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে । পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল হাসান পিপুল,
ধরমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শামসুল হক, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটা জানা যায়নি।
এই অগ্নিকাণ্ডে ৭০/৮০ জনের বেশি পানচাষির কয়েক হাজার পিলি পানবরজ আগুনে ভস্মীভূত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত বড় পানচাষিদের মধ্যে ফরজ ,রবজেল,আব্দুল, ইয়াকুব, মাইরুল, খায়রুল,আলী হোসেন ,আকবর,রতন,নিহারুল,বারিক,শহিদুল সহ অনেক পান চাষির ক্ষতি হয়েছে ।
ধরমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে পানচাষিদের ও এলাকার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই এলাকায় অর্থনীতি নির্ভর করে পান চাষের ওপর। এই ক্ষতি সহজে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, পাটুয়াকান্দী এলাকায় পান বরজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট হাজির হয়। কিন্তু বাতাসে আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তা আশেপাশে তা ছড়িয়ে পড়ে।