চেয়ারম্যানের ভাইয়ের দাপটে তটস্থ মানুষ

আহসান হাবিব(বিদ্যুৎ):
চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বারেক মন্ডল ও ভাতিজা বাপ্পি। তাদের ভয়ে ইউনিয়নবাসীর সবাই তটস্থ থাকেন। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডলের ক্ষমতার দাপটেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল ভাঙচুর, অসহায় মানুষকে মারধর,অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি থেকে হেন অপকর্ম নেই যা করছেন না তারা। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
বলছি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডলের ছোট ভাই বারেক মন্ডল ও বারেক মন্ডলের ছেলে বাপ্পির কথা।
তাদের অন্যায় ও অপরাধের কথা জেনেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। তাদের এসব অপরাধের কথা থানা পুলিশও জানে। তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা।
সর্বশেষ- ১৮ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী শামসুজ্জোহা স্বপনকে বেধড়ক মারধর ও কেবল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানের ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের কেবল জয়েন্ট মেশিন ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পরবর্তীতে অবস্থা খারাপ হলে ঢাকা হৃদ রোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় কেবল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানের মালিক সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও বিষয়টি আমলে নেননি মিরপুর থানা পুলিশ ।
ভুক্তভোগী শামসুজ্জোহা স্বপন ও সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডলের ক্ষমতার দাপটেই তার ভাই বারেক মন্ডল
ও তার ছেলে বাপ্পি আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল ভাঙচুর ও আমাদের মারধর করেছে। শুধু আমাদেরই নয়, এলাকার অনেকের জমি দখল, চাঁদাবাজি থেকে হেন অপকর্ম নেই যা করছেন না তারা। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তারা। তাদের এসব অপরাধের কথা থানা পুলিশও জানে তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইউনিয়নবাসীর একাধিক মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে বড় বড় অপরাধের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বারেক মন্ডলের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি,অবৈধ বালির ব্যবসা, মারামারিসহ নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের প্রশ্রয় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বারেক মন্ডল। বারেক মন্ডলের বিষয়ে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে বারেক মন্ডলের সঙ্গে কথা তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা। আমি ও আমার ছেলে
আমরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে থাকি না। এর বেশি কিছু জানতে হলে সরাসরি দেখা করুন।
এ বিষয়ে তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।